
১২.০৪.২০২০। রবিবার
ভোর ৪.১৪
হঠাৎ ঘুমটা ভেঙে গেল। কোনও স্বপ্ন–টপ্ন দেখে নয়। জাস্ট এমনিই। খানিকক্ষণ বারান্দায় গিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। ঝিরঝির করে হাওয়া দিচ্ছিল। কাছে বা দূরে কোথাও একটা কোকিল ডাকছিল। বহুদিন পর কোকিলের ডাক শুনলাম। রাতচরা কুকুরগুলোও ডাকছে না। ক্লান্ত হয়ে পড়েছে নিশ্চয়ই। চারদিক থমথম করছে। কোনও আওয়াজ নেই। সম্ভবত সেইজন্যই কোকিলের ডাকটা আরও তীক্ষ্ণ হয়ে কানে বাজছিল।
নিশুতির মধ্যে কোকিলের ডাকটা শুনে শীর্ষেন্দু’দার আত্মজৈবনিক উপন্যাসটার কথা মনে এল। সেখানে তিনি লিখেছিলেন ময়মনসিংহের বাড়িতে এক কোকিলের ডাকের কথা। লিখেছিলেন, ওইরকম প্রাণ হু–হু করে ওঠা ডাক তিনি আগে কখনও শোনেননি। আজও তাঁর মনে আছে সে ডাক। যেমন আমার মনে হচ্ছিল। হয়ত এই হাহাকার মেশানো ডাকটা আমারও আজীবন মনে থেকে যাবে। এই ভোররাত, এই নৈঃশব্দ্য, এই দমকা হাওয়া আর ওই কোকিলের ডাক একটা ফ্রিজ ফ্রেম হয়ে থেকে গেল জীবনে।
বারান্দার একেবারে গায়ে রাস্তার উপর একটা অতিকায় সোডিয়াম ভেপার ল্যাম্প। ফটফট করছে আলো। বছর পনেরো আগেও এখানে একটা বিশাল নিমগাছ ছিল। হাওয়ায় মাথা দোলাত। ভারী ভাল লাগত। নিমগাছটার ঝাঁকড়া মাথায় আলোটা খানিক আড়াল হতো। গাছটা কেটে ফেলা হয়। তাতে বারান্দাটা উদোম হয়ে গিয়েছিল। তাই নিয়ে বাবা–মায়ের সঙ্গে বহু রাগারাগিও করেছি। আজ বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে মনে হচ্ছিল, গাছটা না থেকে ভালই হয়েছে। অন্ধকারের সঙ্গে ভয়ের একটা অনুষঙ্গ আছে। অন্ধকারে গাছের ছায়া চিরে কোকিলের ডাকটা আর্ত চিৎকারের মতো শোনাত। সোডিয়াম ভেপার ল্যাম্পটা তা–ও খানিক আলো ছড়াচ্ছে। বোধহয় বলছে, এখনও পুরোপুরি অন্ধকার হয়ে যায়নি চারদিক।
সকাল ৯.১৩
করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যায় ইতালিকে ছাড়িয়ে গেল আমেরিকা। কার্ভ অনুযায়ী দু’দেশ এখন প্রায় সমান সমান। কিন্তু মৃতের সংখ্যা আমেরিকায় বেশি। আরও বেশি হবে নিশ্চিতভাবে। কে জানে কোথায় গিয়ে থামবে এই মিছিল!
ইতালি বলতে মনে পড়ল, কাল একটা ফিচলেমি করেছি। গৌরবের স্ত্রী চৈতালির জন্মদিন ছিল। ফেসবুকে ওকে উইশ করতে গিয়ে হঠাৎ খেয়াল হল, ওর নামের ইংরেজি বানানের শেষ পাঁচটা অক্ষর মিলে ‘ইতালি’ হয়। শুভেচ্ছার সঙ্গে সেটাও লিখে দিলাম। বললাম, ‘এটা নিয়ে চিন্তা কোর না।’ খানিক পরেই গৌরবের জবাব এল, ‘এটা এই প্রথম রিয়ালাইজ করলাম!’ খুব একচোট হাসাহাসি হল।
ইয়ার্কি থাক। দুই মানবসন্তান এবং একটি ল্যাব্রাডর ‘সিম্বা’কে নিয়ে একে ওরা থাকে বিলেতে। যেটা এখন করোনার ডেন! তার উপর গৌরব আবার ডাক্তার। ভাল থাক ওরা সকলে। সুস্থ থাক।
কাল গভীর রাতে বাবাইয়ের সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা হল। অনেকদিন পর। পৃথিবীর কিছু গভীর বিষয় নিয়ে আলোচনা হল। যার মধ্যে অন্যতম নেটফ্লিক্সে সাম্প্রতিকতম হিট ওয়েবসিরিজ ‘মানি হেইস্ট’। বাবাইকে আমি ‘বাডি বলে ডাকি। বাবাইয়ের বয়স ১৬।
সকাল ৯.২০
আজ কি প্রধানমন্ত্রী আমাদের আরও দু’সপ্তাহের লকডাউনের গাইডলাইন দেবেন? কে জানে! মনে বড় চিন্তা। আজ মাসের ১২ তারিখ। উনি কি বলবেন, রাত ১২টায় ১২ মিনিট দেশবাসীকে নিঃশ্বাস বন্ধ করে রাখতে? তাতে যদি করোনা ভাবে সকলে মরে গিয়েছে। তার আর ভারতে কোনও কাজ নেই। এই ভেবে হয়তো আশপাশের দেশে চলে গেল। যাহ্, এটা হতে পারে না। নেহাতই রসিকতা করছি। করেই ভয় হল। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ফাজলামি করলে জেলে ভরে দেয় যদি?
সকাল ৯.২৮
সনৎ ফেসবুকে লম্বা স্টেটাস লিখেছে। অর্থাৎ, ওর দাঁতের ব্যথা সহ্যসীমার মধ্যে আছে। অর্থাৎ, আমার প্রেসক্রিপশন ওরও কাজে লেগেছে। গুড!
দুপুর ১২.৩১
আজ জম্পেশ করে গাড়ি ধুলাম। শুকনো লাল শালু দিয়ে যখন গাড়িটা মুছছি, একটা ছেলে তাকাতে তাকাতে গেল আর আমার ধাঁ করে ২০ বছর আগের ঘটনাটা মনে পড়ে গেল। সেদিনও এইরকম শর্টস আর একটা ল্যালব্যালে টি–শার্ট পরে এই বাড়ির সামনে ঠিক এইরকমভাবেই গাড়ি ধুচ্ছিলাম। একটি প্রায় সমবয়সী ছেলে এসে অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে রইল। কিছু বলছিল না। অস্বস্তি হচ্ছিল। জিজ্ঞাসা করে ফেললাম, কিছু বলবেন? ছেলেটি বলল, ‘তুমি এই বাড়িতে গাড়ি ধোও?’
— হ্যাঁ। কেন?
‘আসলে আমার গাড়িটা ধোওয়ার একটা লোক খুঁজছি। তুমি কাজটা করবে?’
— হ্যাঁ। আপনি বললে করব। কোথায় থাকেন? কী গাড়ি আপনার?
‘এই তো দুটো গলি পরেই থাকি। মারুতি জেন গাড়ি। কত নেবে?’
— এই বাড়িতে তো মাসে ২০০ টাকা দেয়। আপনিও ওটাই দেবেন না হয়।
মনে আছে, ছেলেটা খুশি হয়ে ঠিকানা–টিকানা দিয়ে চলে গেল। যখন বাইরের রাস্তায় এই কথোপকথন হচ্ছে, তখন আমার পিতৃদেব বিস্ফারিত নেত্রে একতলার বারান্দায় স্থাণুবৎ দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁর করিতকর্মা পুত্রের সম্ভাব্য এমপ্লয়ার বিদায় নেওয়ার পর সম্বিত ফিরে পেয়ে গলা–টলা খাঁকারি দিয়ে বললেন, ‘এটা তুমি কী করলে?’ আমি একটা আমুদে হাসি হাসলাম। বিশ বছর আগে বাবার প্রতাপ দোর্দণ্ড ছিল।অনেকটা বাংলা সাদা-কালো ছবিতে কমল মিত্রের মতো। তাঁর দাপটে আমি এবং মা একই ঘাটে জল খেতাম। ফলে তিনি নিদান দিলেন, এই ধরনের বেয়াড়াপনা যেন আর না করি। পাড়ায় তো একটা মানসম্মান আছে!
তার পর থেকে রোজ গাড়ি ধোওয়ার সময় রিস্টওয়াচ পরে থাকতাম। যাতে ঘামে ভেজা টি–শার্ট আর শর্টস পরা থাকলেও আমাকে একেবারে চাকরবাকর মনে না হয়। এখন অবশ্য গাড়ি ধোলাইকারীদের হাতে বাহারি ঘড়ি থাকে। পকেটে স্মার্টফোন। আজ অবশ্য তেমন কোনও ভ্রান্তিবিলাস হয়নি। ছেলেটি সম্ভবত তাকাতে তাকাতে ভেবেছে, করোনার প্রকোপ কমলে এই মাঝবয়সীকে ‘কর্মবীর’ উপাধি দেওয়া যেতে পারে।
দুপুর ১.০০
গাড়ি ধোওয়া শেষের মুখে পাশের বাড়ির কাকিমার সঙ্গে দেখা হল। ছেলে–বউমা মুম্বইয়ে থাকে। এখানে উনি একা থাকেন। তার মধ্যে আবার হাত ভেঙে বসেছেন! প্লাস্টার কাটার সময় হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কোথায় কাটাবেন। এই করোনার বাজারে কে আর প্লাস্টার কাটতে সময় দেবে। সত্যি, এই মানুষগুলোর যে কী হবে!
দুপুর ১.১২
বাবা–মা’কে খেতে দিয়ে বাবার ঘরটা ভাল করে ঝাড়পোঁছ করলাম। বিছানা ঝেড়ে, তোয়ালে–টোয়ালে সব গুছিয়ে রাখলাম। এটা বেশ কিছুদিন ধরেই প্ল্যান করছিলাম। অবশেষে আজ হল। বাবার কিছু জামাকাপড় কাচতেও হবে। দেখলাম, বিস্তর বাজে জিনিস জমেছে ঘরে। সেগুলোকে বিদায় করতে হবে তাল বুঝে। বুড়ো টের পেলেই বেজায় আপত্তি করবে।
দুপুর ১.২২
বেশ তরিবত করে খেলাম। যাকে বলে ‘ভোজন’। যেমন রবিবারের দুপুরে খায় বাঙালি মধ্যবিত্ত। তফাতের মধ্যে বাঙালি খায় বড় বড় আলু দিয়ে পাঁঠার মাংসের ঝোল–ভাত। আর আমার মেনু নিকষ্যি ভেজ। আদি অকৃত্রিম ডালসেদ্ধ, ভাত, আলুসেদ্ধ আর ডিমসেদ্ধ। একটা কাঁচা লঙ্কা আর পেঁয়াজ থাকলে জমে যেত। কিন্তু লকডাউনের বাজারে ওসব বিলাসিতা না দেখানোই ভাল। খেতে খেতে মনে পড়ল, বিলেতে পড়াকালীন রোজ এই এক মেনু ছিল। মাসের পর মাস। কারণ, এছাড়া আর কিছু তখনও বানাতে পারতাম না। ফিরলাম যখন, মুখটা একটা পাঁচনম্বরী ফুটবলের মতো হয়ে গিয়েছিল। মিঠু এয়ারপোর্টে রিসিভ করতে গিয়েছিল। একঝলক দেখে চিনতে পারেনি!
দুপুর ২.২১
একটু আগে অফিসে পৌঁছেছি। এইমাত্র ঢুকল বিপ্লব। ঢুকেই সটান আমার ঘরে এসে বলল, ‘বালি ব্রিজ হয়ে এলাম। ব্রিজের উপর থেকে দক্ষিণেশ্বরের গঙ্গার ঘাটে নজর করে দেখলাম, মানুষ তো দূরের কথা। একটা কাকও নেই!’ হতে পারে। তবে বিপ্লব প্র্যাকটিক্যাল জোক করতে ওস্তাদ। নইলে কি খুব সিরিয়াস মুখে জুনিয়র কলিগদের ভয় দেখিয়ে বলতে পারে যে, খবর পেয়েছে রাজ্য সরকার এরপর সকলের পিছনে জিপিএস ফিট করে দেবে। কে কোথায় যাচ্ছে, সব দেখা যাবে কন্ট্রোলরুম থেকে। লকডাউন ভাঙলেই জিপিএস ট্র্যাকার ধরে ফেলবে। তারপর তাদের কান ধরে সর্বসমক্ষে ওঠবোস করাবে পুলিশ। পারেও বটে!
আজ আর কাল নবান্নে স্যানিটাইজেশন হচ্ছে। ফলে দু’দিন রাজ্য প্রশাসনের সদর দফতর বন্ধ থাকছে।
রবিবার দিনটা অফিসে খুব চাপ থাকে। আজ এই এন্ট্রির পর যে আবার কখন লিখতে পারব কে জানে!
দুপুর ৩.০৫
সাঙ্ঘাতিক খবর। পাঞ্জাবের পাটিয়ালায় লকডাউন ভাঙায় বাধা পেয়ে একদল লোক এক পুলিশ অফিসারের একটি হাত তলোয়ারের এক কোপে নামিয়ে দিয়েছে! তারপর ব্যারিকেড–ট্যারিকেড ভেঙে ঢুকেছে গিয়ে একটা গুরুদোয়ারায়। পুলিশ তারপর গুলির লড়াই চালিয়ে অ্যারেস্ট করেছে তাদের। আর পিজিআই চণ্ডীগড়ে অফিসারের কাটা হাত জোড়া দেওয়ার অপারেশন চলছে। এটারই ভয় পাচ্ছিলাম। এ হল লকডাউনের গাদ। এতদিন ধরে জমছে। এবার ফেটে পড়তে শুরু করেছে।
বিকেল ৫.৩৩
গগনে গরজে মেঘ! কিন্তু ওই মেঘই শুধু। কথাই তো আছে, যত গর্জায় তত বর্ষায় না। ফলে অফিসের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে ব্যাঙের মূত্র বিসর্জনের মতো ছিটেফোঁটা বৃষ্টিই দেখতে হল। অন্তত সল্টলেকের এই বিজন কোনে। তবে সামনের দীঘল ঘাসজমি থেকে উঠে আসা সোঁদা গন্ধটা নাকে এল। এই বাজারে সেটুকুই বা কম কী? জনশ্রুতি, কলকাতার কিছু এলাকায় নাকি শিলাবৃষ্টি হয়েছে। আর উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার কিছু এলাকায় নাকি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। হতে পারে।
সন্ধ্যা ৬.০৬
রাজধানী দিল্লিতে ভূমিকম্প! রিখটার স্কেলে মাত্রা ৩.৪। নট ব্যাড। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ভূপৃষ্ঠ থেকে সাড়ে ৬ কিলোমিটার গভীরে। যাঁরা লকডাউনে বাড়িতে ছিলেন, তাঁরা প্রাণ বাঁচাতে হুড়মুড়িয়ে রাস্তায়। লোকজন প্রবল কনফিউজ্ড। বাড়িতে থাকবেন? না রাস্তায়? দুর্ভাগ্য কখনও একা আসে না। ঠিকই।
সন্ধ্যা ৬.৩৫
তিন রাত আইসিইউয়ে কাটানোর পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন অবশেষে করোনা–মুক্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।
রাত ৯.০১
নরেন্দ্রপুরের এক ব্যাচ সিনিয়র শুভম’দা মেসেঞ্জারে একটা অ্যাটাচমেন্ট পাঠিয়েছে। খুলে দেখি, চমৎকার হাতের লেখায় একটা আন্তরিক চিঠি। ‘লকডাউন ডায়েরি’ নিয়ে। যে পাখিটা এসে দরজার কাচে ঠোকর মারছিল, তার একটা পরিচয়ও দিয়েছে। লিখেছে, ‘ ভাল কথা, সেই পাখিটা কি আর ফিরে এসেছিল ? কোনওভাবে ওটা কি রেড হুইস্কারড বুলবুল ( বাংলায় সিপাহি বুলবুল) ? আসলে এই মার্চ-এপ্রিল মাসটা রিটার্ন মাইগ্রেশনের সময়।অনেক আনইউজুয়াল পাখি দেখা যায়।’ সায়নের মতো শুভম’দাও বার্ড ওয়াচ করে। চিঠিটা একনিঃশ্বাসে পড়ে উঠলাম। বহুদিন পর হাতের লেখায় চিঠি। মেসেঞ্জারেই লিখলাম, ‘থ্যাঙ্ক ইউ। আই শ্যাল ট্রেজার দিস।’
এক লহমায় জবাব এল, ‘ডিলাইটেড অ্যাজ ওয়েল অ্যাজ ওভারহোয়েলম্ড।’
রাত ৯.০৬
এ রাজ্যে পাবলিক প্লেসে নাক–মুখ ঢাকা বাধ্যতামূলক হয়ে গেল। একটু আগে এই মর্মে নির্দেশ জারি করল রাজ্য সরকার। অর্থাৎ, মাস্ক পরতেই হবে। তবে মাস্ক মানে একেবারে ত্রিস্তরীয় সার্জিক্যাল মাস্ক বা এন–৯৫ গোছের হাই–ফাই ব্যাপার নয়। সাধারণ কাপড়ের মুখাবরনী হলেও চলবে। দোপাট্টা, রুমাল বা কোনও পরিষ্কার কাপড়ের টুকরো দিয়ে নাক–মুখ ঢাকলেও সমস্যা নেই। মুখ ঢাকা না থাকলে পুলিশ রাস্তা থেকে ধরে সটান বাড়িতে ফেরত পাঠাবে। সে যে–ই হোক।
আলটপকা শুনে ইয়ার্কি ভাবতে পারে কেউ কেউ। কিন্তু খুব সিরিয়াসলি মনে হচ্ছে, এবার বাজারে ডিজাইনার মাস্ক পাওয়া যাবে। বিভিন্ন বিখ্যাত গার্মেন্ট ব্র্যান্ড তৈরি করবে। করোনা চলে গেলেও তার কদর থাকবে। লোকে এমনিই পরবে। স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য। ‘পিঙ্ক’ ছবিতে দিল্লির কুখ্যাত দূষণ আটকাতে অমিতাভের চরিত্র যেমন মুখে একটা অভিজাত এবং দেখে ভক্তি হওয়ার মতো মাস্ক পরত। হয়তো কয়েকমাস পরে বিজ্ঞাপনী ট্যাগলাইন হবে, ‘পুজোয় চাই নতুন মাস্ক’।
শেষের লাইনটা কিন্তু বিশুদ্ধ ইয়ার্কি।
রাত ১০.২৬
আরও একটা দিন গেল। কাল ভোররাতেও কি পরিত্রাহী ডাকবে একলা কোকিলটা?