
১৭.০৫.২০২০। রবিবার
সকাল ৮.২৮
কাল রাত আড়াইটেয় শিবাজির হোয়াট্সঅ্যাপ ঢুকল। রাজশেখর বসুর লেখা ‘মহাভারত’। টোটাল ৭২০ পাতা। কী বলে যে ওকে ধন্যবাদ দেব জানি না। নিশ্চয়ই ‘লকডাউন ডায়েরি’–তে পড়েছিল যে, আমি অ্যামাজনে ‘মহাভারত’ না পেয়ে হা–হুতাশ করেছি। তারপর নিজেই উদ্যোগী হয়ে পাঠিয়েছে। এইসব সময়ে কৃতজ্ঞতা জানানোর শব্দ কম পড়ে যায়।
কাল অনেক রাতে গিয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়েছিলাম। একটু আধটু হাওয়া দিচ্ছিল। দূরে রাস্তার দুটো হ্যালোজেন ভেপার ল্যাম্প কেন জানি না বন্ধ ছিল। তাই উপরে রাতের আকাশটাকে আরও গাঢ় অন্ধকারাচ্ছন্ন মনে হচ্ছিল। আর সেই আকাশে জ্বলজ্বল করছিল একটিমাত্র তারা। ওটা কি শুক্রগ্রহ? ঠিক জানি না। জ্যোতির্বিজ্ঞানে তেমন ফান্ডা নেই। কিন্তু তারাটা দেখতে আশ্চর্য লাগছিল। একটু বেশিই যেন উজ্জ্বল।
সকাল ৯.০৬
কাল থেকে রাস্তায় বেশি সরকারি বাস নামবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ, প্রাইভেট বাসের বাড়াবৃদ্ধির দাবি নাকচ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। নাকচ হয়ে গিয়েছে ট্যাক্সির ভাড়াবৃদ্ধির প্রস্তাবও। ফলে বেসরকারি বাস–ট্যাক্সি রাস্তায় না নামলে চাপ সামলাতে অতিরিক্ত সরকারি বাস নামাতে হবেই। সেই প্রস্তুতিই দেখছি আজ দিনভর চলছে। বিভিন্ন বাস ডিপোয় সার সার সরকারি বাস স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। পিপিই পরিহিত অদ্ভুতদর্শন কর্মীরা সেই কাজে ব্যাপৃত।
দুপুর ১২.৪৮
নীচে যেতে ভয় লাগছে। কাল থেকেই মা খুব ভেঙে পড়েছে। অনর্গল কান্নাকাটি করছে। আসলে মায়েরা পাঁচ ভাইবোন খুব ঘনিষ্ঠ। পূর্ববঙ্গ থেকে উদ্বাস্তু হয়ে চলে আসা ইস্তক বেঁধে বেঁধে থেকেছে। ছোটবেলায় বাবা মারা যাওয়ার পর মামাবাড়ির সংসারে গিয়ে গঞ্জনা শুনে বড় হয়েছে। যে বাড়িতে বাটিতে করে ভাত মেপে দেওয়া হতো। দিনে একবারের বেশি হাগু করলেই বলা হতো, পেট খারাপ। পরদিন খাওয়া বন্ধ!
অপমানে, অসম্মানে সেই বাড়ি ছেড়ে চলে এসে দিদাকে নিয়ে পাঁচজন যাদবপুরে টালির চালের ঘর থেকে জীবনে যে যার মতো করে দাঁড়িয়েছে। মা ছিল সেই কলোনি ঘরের পরিশ্রমী, উপার্জনক্ষম কন্যা। যে প্রচুর কষ্টে পড়াশোনা করে সংসার চালানোর ব্যয় নির্বাহ করত। বাকি দুই বোন তাকে নিঃস্বার্থভাবে সাপোর্ট দিত। মায়ের জীবনের গল্প শুনতে শুনতে মনে হয়েছে, ‘মেঘে ঢাকা তারা’র সুপ্রিয়া দেবীর চরিত্রের সঙ্গে অদ্ভুত মিল। বড়মামু আর ছোটমামুও উদয়াস্ত পরিশ্রম করেছে। মা বলছিল, ‘ছোটমামুর প্রথম পোস্টিং ছিল জলপাইগুড়িতে। ছুটিতে বাড়ি আসত। মা বলত, তোর নতুন চাকরি। এত ছুটি নিস না! ও বলত, না–না, আমি তোমাদের সঙ্গে একটু থাকতে চাই। অফিসে রিকোয়েস্ট করলে কয়েকদিন ছুটি বাড়িয়ে দেবে ঠিক।’
মা বলছিল, ‘মাইনের টাকা বাঁচিয়ে তোর জীবনের প্রথম ট্রাইসাইকেলটা কিনে দিয়েছিল ছোটমামু। তুই যখন টেপ রেকর্ডারের জন্য মাথা খাচ্ছিস আর আমার সামান্য শিক্ষকতার মাইনেতে তার সঙ্কুলান হচ্ছে না, তখন ছোড়দা যেচে এসে টাকাটা দিয়ে দিয়েছিল। এগুলো ভুলব কী করে?’
শুনতে শুনতে মনে হচ্ছিল, অস্টিও আর্থ্রারাইটিসে শয্যাশায়ী মা কতবার বলেছে একবার লাবনিতে ছোটমামুর কাছে নিয়ে যেতে। বলেছে, ‘অনেকদিন ছোড়দাকে দেখিনি। আমার পা’টা একটু ভাল হয়ে গেলে একবার নিয়ে যাবি?’ পারিনি। আসলে যাইনি। নিজের সময়কে মায়ের ইচ্ছের চেয়ে বেশি প্রায়োরিটি দিয়েছি। মনে হয়েছে, মা’কে তিনতলা পর্যন্ত তুলে নিয়ে যাব কী করে? অসুস্থ হয়ে পড়ায় একবার একতলার ঘর থেকে কোলে করে গাড়িতে তুলেছিলাম। কিন্তু তিনতলাটা বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে। ভেবেছি, ঠিক আছে। হবে’খন। একদিন না হয় নিয়ে যাব।
সেটা আর হল না।
কাল দুপুরে যখন ছোটমামুকে নিয়ে কাচের গাড়িটা আমাদের বাড়ির প্রায় গা বেয়ে বাইপাস ধরছিল, তখন কেন জানি না আমার সবচেয়ে বেশি মনে পড়ছিল একলা একটা খাটে শুয়ে থাকা মায়ের কথা। কাঁদতে কাঁদতে যার চোখের জল ততক্ষণে শুকিয়ে গিয়েছে। বাড়ি ফেরা পর্যন্ত আমি আর যোগাযোগই করিনি। মুনমুনকে বলেছিলাম ও যেন মা’কে সবসময় আপডেটেড রাখে।
ফেরার পর মা আমাকে শিশুর মতো হাত বাড়িয়ে একবার জড়িয়ে ধরতে চেয়েছিল। আমি বলেছি, নাহ্, আমি সারাদিন হাসপাতালে–শ্মশানে ঘুরেছি। হেভি এক্সপোজার। তুমি এখন আমাকে ছুঁয়ো না। কাল সকালে কথা হবে।
আজ সকালে ঘর ‘মপ’ করার সময় মা ঝরঝরিয়ে ছোটবেলার দুঃখকষ্টের মধ্যেও একসঙ্গে কাটানো ছোট ছোট মুহূর্তগুলোর কথা বলছিল। মনে হচ্ছিল, জীবনধারণের জোটবদ্ধ স্ট্রাগল মানুষকে এক আশ্চর্য স্নেহ–ভালবাসার সুতোয় বেঁধে দেয়। যত দিন যায়, তত সেই বাঁধন শক্ত হয়। মানুষগুলো এদিক–ওদিকে ছড়িয়ে পড়লেও বাঁধন ছেঁড়ে না। যাদবপুরের কালিবাড়ি লেনের টালির চালের দু’কামরায় যে পরিবার কষ্টে দিন কাটাত, তারা এখন কেউ ফ্ল্যাটে, কেউ নিজের বাড়িতে। কিন্তু জীবনের সেই দিনগুলো তাদের এখনও আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে রেখেছে।
দুপুর ১.২৩
এতক্ষণ প্রচুর কাজ করলাম। প্রথমে রান্না। তারপর বোতলে জল ভরলাম। এই কাজটার মতো বোরিং বিষয় জীবনে দুটো নেই। কিন্তু করতে তো হবেই। আফটার অল, জলের অপর নাম জীবন। বহুদিন পর বাড়ির দুটো তলা ‘মপ’ করলাম। গাড়িও ধুলাম। অনেকদিন গাড়ি ধোয়া হয় না। খুব ময়লা হয়েছিল। নিজেরই উঠতে কেমন একটা লাগত। আরেকটা তুকও আছে। দেখেছি, আমি গাড়ি ধুলেই বৃষ্টি নেমে সেটা কাদা–কাদা হয়ে যায়। তাই গাড়ি ধুয়ে বৃষ্টিকে আবাহনের চেষ্টা। নইলে যা গরম পড়েছে, কিছুদিনের মধ্যে বাষ্প হয়ে উড়ে যাব!
‘আম্ফান’ না কী একটা জটিল নামের ঘূর্ণিঝড় কোথা থেকে একটা আসবে আসবে করেও কাঁচরাপাড়ার লেভেল ক্রসিংয়ে আটকে আছে। গাড়ি ধুয়ে সেই ড্রপগেটটা যদি তোলা যায়। কাল হয়ে ওঠেনি। আজও ওয়ার্কআউট করা হল না। ফলে আজ গাড়ি ধোয়াটাই আমার শরীরচর্চা হয়ে রইল। কাল থেকে আবার নর্মাল রুটিনে ফিরব। কারণ, জীবন থেমে থাকে না।
দুপুর ২.১৭
ছোটমামুর পারলৌকিক কাজ নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে পরিবারের বিভিন্ন খাপখোপে। এটা আমার কাছে একইসঙ্গে অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং বিরক্তিকর ব্যাপার। কোনওদিনই লৌকিকতায় বিশ্বাস করিনি। এখনও করি না। পারতপক্ষে কোনও শ্রাদ্ধবাড়িতে যাই না। গেলেও কিছু খাই না। শুধু ফুল দিয়ে নমস্কার জানিয়ে চলে আসি। খুব অস্বস্তি হয়। আর ওই যে শ্রাদ্ধের পর ‘মৎস্যমুখ’ বলে একটা কাণ্ড হয়, সেটা সর্বোচ্চ পর্যায়ের ধ্যাষ্টামি বলে মনে হয়। একজন পরপারে চলে গিয়েছেন আর লোকে কব্জি ডুবিয়ে মাছ খাচ্ছে। তার মাঝখানে পারিবারিক হাট বসেছে। লোকে ছবি তুলছে। সেল্ফি নিচ্ছে। অশ্লীল অর্থহীন অপচয়!
ছোটবেলার এক বন্ধু (বন্ধু বলা ঠিক হল না। তবে এছাড়া আর কী বলব? পরিচিতের চেয়ে বেশি আফটার অল) তার বাবার মৃত্যুর শ্রাদ্ধের দিন হাসি হাসি মুখে মা’কে সঙ্গে নিয়ে ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়েছিল। স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলাম! এদের কি বয়স বাড়ে না? নাকি ছেলেটা বরাবরই এইরকম গবেট, প্রগলভ আর নির্লজ্জভাবে সেল্ফ প্রমোশনাল ছিল? কে জানে! ওই ছবিটা এতবড় টার্ন অফ ছিল যে, ছেলেটির সঙ্গে আর কথা বলারই প্রবৃত্তি হয়নি। কোনওদিন হবেও না।
ছোটমামু কড়াধাঁচের বামপন্থী ছিল। এতটাই যে, বাড়িতে ‘গণশক্তি’ রাখত। সারাজীবন সিটু করেছে মন দিয়ে। সেই লোকটা থাকলে যে শ্রাদ্ধশান্তি করতে বাধা দিত, তা নিয়ে আমার কোনও সন্দেহ নেই। দিদা চলে যাওয়ার পর যখন লোক খাওয়ানো হয়েছিল, তখনও ছোটমামু প্রভূত গজগজ করেছিল। আমি থাকতে পারিনি। গুজরাত ভূমিকম্প কভার করতে চলে গিয়েছিলাম। কিন্তু পরে শুনেছিলাম, ছোটমামু ভাল করে খায়ওনি। অথচ, খেতে ভালবাসত। তরিবত করে খেতও। ডাল খেতে খুব ভালবাসত। কিন্তু সেদিন সেসব ছুঁয়েও দেখেনি।
ঠিকই করেছিল।
বিকেল ৫.০০
মহারাষ্ট্র আর তামিলনাড়ুতে ৩১ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়িয়ে দেওয়া হল। যা থেকে সহজেই অনুমেয় যে, গোটা দেশও লকডাউনটা ৩১ মে পর্যন্ত টানবে। আজ রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করার কথা। কিন্তু বুঝহ যে জন জানহ সন্ধান। ফলে বুদ্ধিমান লোকেরা বুঝে গিয়েছে, এই মাসটা পুরোই তালাবন্ধ থাকবে।
শহরের কিছু কিছু আমোদগেঁড়ে অবশ্য ধরে নিয়েছে, এখনও পর্যন্ত যখন প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে কোনও ভাষণ দেননি, তখন লকডাউন কাল থেকেই শিথিল করে দেওয়া হবে। আবার ক্যালক্যাল করে রাস্তায় বেরিয়ে পড়া যাবে। পাড়ার মোড়ে গুলতানি করা যাবে আর চায়ের দোকানে রাজা–উজির মারা যাবে। ফলে তারা কাছাখোলা হয়ে আজকেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছে। এই ছাগশিশুদের যদি বোঝানো যেত যে, কোনও সরকারি ঘোষণা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে টিভি–তে আসতে হয় না। একটা সরকারি কাগজই যথেষ্ট। রাজনীতিকরা সেই কাগজ হয়ে টিভি–তে আসেন। কারণ, তাঁরা ফুটেজ খেতে চান।
বিকেল ৫.৪৫
চেতলা থেকে এসএওস এসেছে— ট্রাইপড অসুস্থ। নেতিয়ে পড়েছে। হাঁটাচলাও করছে না। শরীরের কোথাও একটা যন্ত্রণা হচ্ছে। কিন্তু গায়ে হাত দিতে দিচ্ছে না। ডাক্তার দুটো ওষুধ প্রেসক্রাইব করেছেন। কিন্তু চেতলায় সমস্ত ওষুধের দোকান বন্ধ। ইমিডিয়েটলি ওষুধ দিতে হবে। তা না হলে ও আরও নেতিয়ে পড়বে। অফিসে বসে বসেই সল্টলেকের তিনটে দোকানে ফোন করলাম। সব বন্ধ। সেবা হাসপাতালের নীচে দোকানটা খোলা থাকবে ভেবেছিলাম। কিন্তু সেটাও নাকি রবিবার বন্ধ থাকে। কী করি!
সন্ধ্যা ৬.৫০
ফাটিয়ে দিয়েছি! সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৫০ মিনিটের থ্রিলার। ওষুধের খোঁজে নেমে জানা গেল, বিডি ব্লকে একটা দোকান নাকি খোলা আছে। সেদিকেই রওনা হয়েছিলাম। মাঝখানে ঝাঁ করে মনে হল, অতদূর কেন? জিডি মার্কেটটা একবার দেখে নিই না। কীমাশ্চর্যম, ওষুধের দোকান খোলা এবং ফাঁকা পাওয়া গেল। পাশাপাশিই জানা গেল, সোমবার মার্কেটের রুটিন ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিনই এই ওষুধের দোকান রাত সাড়ে ৮টা–৯টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
ওষুধ কিনেই একছুটে চেতলা। ওষুধ দিয়ে একদৌড়ে অফিস। লকডাউন জিন্দাবাদ!
সন্ধ্যা ৭.০২
বুদ্ধিমানেরা যা ভেবেছিলাম। ৩১ মে পর্যন্ত বাড়ল লকডাউন। পাশাপাশিই এবার জারি হচ্ছে নাইট কার্ফু। সন্ধ্যা ৭টা থেকে পরদিন সকাল ৭টা পর্যন্ত কোনও অবস্থাতেই ঘর থেকে বেরোন নিষিদ্ধ। একমাত্র একান্ত জরুরি প্রয়োজনে এবং সরকারি অনুমতি–সহ বেরোন যেতে পারে। গাইডলাইন–সহ এই নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেখানে আগের গাইডলাইনগুলো অক্ষতই আছে। সঙ্গে দুটো ইন্টারেস্টিং জিনিস জুড়েছে।
১. একত্রে ৫০ জন বা তার কম লোক নিয়ে বিয়েবাড়ি হতে পারবে।
২. স্পোর্টস কমপ্লেক্স খোলা যাবে। কিন্তু কোনও দর্শক থাকবে না।
আর হ্যাঁ, ৩১ মে পর্যন্ত বাড়ল ‘লকডাউন ডায়েরি’–র মেয়াদ। যেমন বাড়ল পথিমধ্যে আটক–থাকা মুখে মাস্ক আর কাঁধে ব্যাকপ্যাক নিয়ে অনির্দিষ্টকাল অপেক্ষায় থাকা মানুষের হয়রানি।
রাত ১০.৪০
আরও একটা চাপের রবিবার কেটে গেল। এবার বাড়ি ফিরব। যে বাড়িতে এক প্রায়ান্ধকার ঘরে বিছানায় লেপ্টে আছে এক ক্ষীণসার চেহারা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁতের শাড়ি আর কপালে বড় টিপ–পরা যে মেয়েকে সম এবং অসমবয়সী পড়ুয়ারা চোখে হারাত, গরিব বাড়ির মেয়ে হয়েও রোজ পরিষ্কার, পাটভাঙা শাড়ি পরে ক্লাস করতে যাওয়ায় আড়ালে যাকে ‘টিপটপ’ বলে ডাকা হতো, সে এখন শিশুর মতো আত্মভোলা হয়ে গিয়েছে।
আজ বাড়ি ফিরতে অস্বস্তি হচ্ছে। মনে পড়ছে, ওই শিশু বলেছিল, ‘পা’টা ভাল হয়ে গেলে আমাকে একবার ছোটমামুর কাছে নিয়ে যাবি?’
যেমন এক রুগ্ন বালিকা তার ছোটভাইকে বলেছিল, ‘সেরে উঠলে আমাকে একদিন রেলগাড়ি দেখাবি?’
যেমন এক রুগ্ন বালিকা তার ছোটভাইকে বলেছিল, ‘সেরে উঠলে আমাকে একদিন রেলগাড়ি দেখাবি?’
অনিন্দ্য-সুলভ সমাপন
LikeLike
ভালো লেখেন।।রোজ পড়ি।কিন্তু আমি তো আর সেলিব্রিটি নোই তাই আমার রিকোয়েস্ট রাখা টা হয়তো সম্ভব হলো না।যাই হোক ভালো থাকা টা জরুরি।ভালো থেকো বস,
LikeLike
সম্পর্কের সমীকরণগুলো খুব চেনা, খুব কাছের। রাজনীতি বা অর্থনীতির(বুঝি না আর
বুঝতেও ঠিক ইচ্ছে করে না) খবর ছাড়া মানুষের কথাগুলো আমার খুব চেনা লাগে। ঠিক
আমার ভাবনাগুলোর শব্দরূপ।
মাবাবা, আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী,সেলেব
আপনার মতই এইভাবেই উপলব্ধি করতে পারি।
এত একঘেয়ে জীবনে এই লেখাটুকু এক ঝলক দখিনা বাতাস।
LikeLike