
২৪.০৪.২০২০। শুক্রবার
সকাল ৯.৫০
আজ সকাল থেকে একবারের জন্যও ডায়েরি লিখতে বসিনি। ভাল লাগছিল না। আকাশটা মেঘলা হয়ে আছে। কিন্তু ভাল মেঘলা নয়। স্যাঁতস্যাঁতে। ঘ্যানঘ্যানে। রোদ্দুর নেই, সেটা একদিকে ভাল। কিন্তু এই ন্যাগিং ওয়েদারটাও কেন জানি না ভাল লাগছে না।
আসলে এটা বোধহয় স্টেট অফ মাইন্ড। যেদিন যেমন থাকে। আজ যেন মনে হচ্ছে, কোথাও একটা কিছু মিসিং। একলা একলা বসে সেটাই ভাবছি। যত বয়স বাড়ছে, তত নিজের সঙ্গে থাকার প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি বুঝতে শিখছি। নাকি এটা নিছক আলস্য? কোথাও না যেতে চাওয়া, বেশি কথা না বলতে চাওয়াটা কি আসলে সেই আলস্যকে জাস্টিফাই করা?
সকাল ১০.৩৯
একটা বাড়ি কখন ‘ঘর’ হয়ে ওঠে? যখন অফিস থেকে ফিরে অন্ধকারেও ঠিক সুইচটা খোঁজার জন্য সুইচবোর্ড হাতড়াতে হয় না। সম্প্রতি এই বোধিজ্ঞান লাভ করেছি।
সকাল ১০.৫৬
ভারতে করোনায় এখনও পর্যন্ত মৃত ৭১৮। আমেরিকায় মৃত্যু ৫০,০০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এসব সংখ্যা ইদানীং কি আর সেভাবে নাড়া দেয়? বোধহয় দেয় না। দেয় যে না, নিজেকে দিয়েই বুঝতে পারি। বোধহয় আর কিছুতেই কিছু আসে–যায় না। আমরা প্রত্যেকেই বোধহয় একেকটা আলাদা বুদ্বুদে বসবাস করি। নিজেদের ট্রিপে থাকি। সেই যাত্রাপথে যদি কোনও স্টেশন আসে তো ছুঁয়ে যাই। না এলে জীবনের রেলগাড়ি চলতে থাকে। চলতেই থাকে।
বেলা ১১.০৮
আজ কি ‘পঞ্চায়েত দিবস’? টিভি–তে দেখছি, প্রধানমন্ত্রী পঞ্চায়েত প্রধানদের ভিডিও বার্তা দিচ্ছেন। গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীও বসে আছেন প্রধানমন্ত্রীর থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ ঢাকা একটা বাহারি উত্তরীয় দিয়ে। তবে নাকটা খোলা। এটা এখন অনেকেরই হচ্ছে। মুখ ঢাকা। কিন্তু নাকটা খোলা। এটা কি স্বাস্থ্যসম্মত? যাকগে, পঞ্চায়েতের কাজের জন্য নতুন অ্যাপের উদ্বোধন হচ্ছে আজ। ঠিকই হচ্ছে বোধহয়। কারণ, জীবন তো এরপর অ্যাপেই চলবে। আর চলবে অনলাইনে।
মনে হয় এরপর অফিস স্পেসেরও প্রয়োজন অনেক কমে যাবে। হাজার স্কোয়ার ফুটের বিশাল অফিস, ইনফ্রা আর দরকার হবে না। বেশিরভাগ লোককেই বাড়ি থেকে কাজ করতে বলা হবে। সেটা যে সম্ভব, তা তো দেখাই গেল। বাড়ি না হলে কফিশপে বসে কাজ করবে লোকজন। ল্যাপটপে, আইপ্যাডে, মোবাইলে কাজ হবে বেশি। কথা হবে কম। অফিসে ওয়ার্কস্টেশনও কম লাগবে। ফলে ওভারহেড কস্ট কমবে। কম বিনিয়োগে বেশি কাজ হবে। আসলে কম বিনিয়োগে বেশি কাজ চাইবে কোম্পানিগুলো।
দুপুর ১২.৩২
মুখ্যমন্ত্রীকে ১৪ পাতার দীর্ঘ চিঠি পাঠালেন রাজ্যপাল। যেখানে মোট ৩৭টি পয়েন্ট দিয়েছেন তিনি। মোদ্দা কথা— ‘আপনি করোনা পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ। রাজ্য সরকার করোনা পরিস্থিতি থেকে কৌশলে দৃষ্টি ঘোরাচ্ছে।’ এ জিনিস বড় গোলমালের দিকে চলেছে বলে জানান দিচ্ছে ষষ্ঠেন্দ্রিয়।
দুপুর ১.৩৯
আজ শচীন তেন্ডুলকারের জন্মদিন। সাতচল্লিশ হল বোধহয়। ফেসবুক উপচে পড়ছে শ্রদ্ধাঞ্জলি আর ভালবাসায়। তার মধ্যে একটা সাদা–কালো পোস্টার দারুণ লাগল। তৈরি করেছে ‘প্রহর’ নামে একটি পোর্টাল। এই পোর্টালকে আমি ফলো করি। ভাল কাজ করে। ইন ফ্যাক্ট, খুবই ভাল কাজ করে। গতকাল সত্যজিতের মৃত্যুদিনেও একটা অসামান্য পোস্টার তৈরি করেছিল। ওদের কাজের মধ্যে তিনটে জিনিস খুব স্পষ্ট— ভাবনা, যত্ন এবং মেধা।
ববরাবর বিশ্বাস করি, যে কোনও কাজেই ভাবনা আর যত্নটা থাকা খুব প্রয়োজন। সময়বিশেষে মেধাটা লাগে। কিন্তু প্রথম দুটো যাকে বলে মাস্ট। সেই কারণেই ‘প্রহর’–এর জার্নির দিকে আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে থাকব। ওখানে যারা কাজ করে, তাদের কাউকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। কিন্তু কাজ দেখে মনে হয়, একটা সেন্টার অফ এক্সেলেন্স তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে কোনও বুড়োটে ভাব নেই। প্রচণ্ড ভাইব্র্যান্ট। আর খুব ফিউচারিস্টিক। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে তৈরি। ওদের জয় হোক।
দুপুর ১.৫৫
দস্যু রত্নাকর বাল্মীকিতে পরিণত হয়েছে।
আজ আবার লেক মার্কেটে মালা কিনতে গিয়েছিলাম। গাড়ি থেকে নামতেই ডাকাতটা চিনতে পারল। রজনীগন্ধায় গাঁথা দুটো মালা এগিয়ে দিয়ে বলল, ‘২৫০ টাকা দেবেন স্যার।’ চোখ পাকিয়ে তাকালাম। মুখের কালো মাস্কটা নামিয়ে ডাকাত মিনতির সুরে বলল, ‘গোড়ের মালা স্যার। বেশি চাইছি না। আনতে অনেক খরচ হয়ে যাচ্ছে। এটুকু দিন।’
গোড়ের মালা না ঘোড়ার ডিম! নাম কী তোর?
— রাজা।
রাজাই বটে! কী ভাবে রাজা হয়েছিস তাও জানি।কোথায় থাকিস? আমি কিন্তু কাছেই থাকি। চেতলায়।
— আমি তো কেওড়াতলা শ্মশানের কাছে থাকি। বলবেন দরকার হলে। কার্ড দিয়ে দিচ্ছি। একটা ফোন করবেন। বাড়িতে ফুল পৌঁছে দেব।
আড়াইশোই দিলাম। ততক্ষণে আমার গাড়ির পিছনে একটা সেডান এসে দাঁড়িয়েছে। দু’জন সম্ভ্রান্ত চেহারার মানুষ নামলেন। সামান্য বিশ্রস্ত চেহারা। বুঝলাম, পরিবারে কেউ প্রয়াত হয়েছেন। গোল গোল যে রিং মরদেহে দেওয়া হয়, সেগুলো নিলেন। সঙ্গে রজনীগন্ধার স্টিক আর সাদা মালা। ঝপ করে খেয়াল হল, পাশাপাশি দুটো ফুলের দোকানের কোথাও কোনও রং নেই। সমস্ত সাদা ফুল। অর্থাৎ, এ সমস্ত ফুল স্মৃতি–শ্রদ্ধার্ঘ্যের জন্য! জীবন্ত মানুষের জন্য আর ফুল কেনে না লোকে।
গাড়িতে ওঠার আগে ডাকাত বলল, ‘আসবেন আবার স্যার।’ বললাম, আসব। মনে হচ্ছে, মুনি না হলেও তুই এখন ডাকাত থেকে অন্তত মানুষ হয়েছিস।
দুপুর ২.০৫
রাধাচূড়া ফুল ঝরে পড়ে পড়ে শহরের রাস্তাগুলো হলুদ হয়ে আছে। বিদেশে যেমন ‘ফল’–এর সময় দেখা যায়। এটা তো আগে কোনও বছরে চোখে পড়েনি? নিশ্চয়ই অন্যান্য বছরও হয়। কিন্তু গাড়ির চাকায় চাকায় আর তিষ্ঠোয় না। এ বছরটা অন্যরকম। এ বছর ফুলেরই দাপট। গাড়ির নয়।
রাত ৯.৪০
গত কয়েকটা ঘন্টা স্রেফ ঝড়ের মতো কেটে গেল!
রনি’দা যে আর নেই, এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না। আরও বিশ্বাস হচ্ছে না, কারণ, আজ বেলা সাড়ে ৩টের সময়েও ওর সঙ্গে আমার ফোনে কথা হয়েছিল। সম্ভবত, সেটাই ইহজগতে কাউকে ওর শেষ ফোন। সম্ভবত।
দেখা হয়েছিল মাসচারেক আগে। কারণ, রনি’দা খুব দরকার না পড়লে অফিসে আসত না। বস্তুত, আমাদের অফিসের রিপোর্টাররা বেশিরভাগই অফিসে আসে না। দূরদূরান্তে অ্যাসাইনমেন্ট সেরে সেক্টর ফাইভের অফিসে এসে কপি লিখে বাড়ি যাওয়াটা একেবারেই প্র্যাকটিক্যাল নয়। সময়সাপেক্ষও বটে। স্পোর্টসের রিপোর্টার এবং ফটোগ্রাফারদের সঙ্গে তাই আমার মূল যোগাযোগ ফোনে–ফোনেই।
তবে তাদের মধ্যেও রনি’দা বিশেষ। ওর সঙ্গে অফিসের সম্পর্কটা সত্যিকারের ‘অনলাইন’ ছিল। শেষবার অফিসে এসেছে মাসদুয়েক আগে। যতবার দেখা হয়েছে, অকালে চলে–যাওয়া স্ত্রীয়ের কথা বলেছে। সেই সংক্রান্ত মানসিক যন্ত্রণার কথা বলেছে। বলেছে সেই কথাটাও যখন একবার ওকে ‘এবেলায়’ প্রায় নিয়ে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যেতে পারেনি। আজকাল অফিস ততদিনে এতোটাই পরিবার হয়ে উঠেছিল এবং স্ত্রীর অসুস্থতায় যেভাবে পাশে ছিল, সেটা ছেড়ে যেতে চায়নি। এত কিছুর পরেও মুখের হাসিটা কখনও মিলিয়ে যেতে দেখিনি। বাঘের মতো চওড়া পাঞ্জায় হাত মেলাত। অ্যাসাইনমেন্ট করে ফোন করত। ছবি নিয়ে আলোচনা করত। ইংল্যান্ডে ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ কভার করতে গেল। রোজ হোয়াট্সঅ্যাপে ছবি নিয়ে আলোচনা হতো। প্ল্যানিং হতো। বলতাম, ফেসবুকে যে ছবিগুলো দিচ্ছ, সেগুলো তো আমাদেরও পাঠাতে পারো! ক্যাপশন নিয়ে রাগারাগি করতাম। বলতাম, তোমার নাম রনি রায়। তোমার মতো প্লেয়ারদের আর কে চেনে! তুমি নাম না লিখে দিলে আমরা কী করে বুঝব? তোমার বাইলাইনে ভুলভাল নাম বেরোলে তো তোমারই বদনাম! সেটা ভাবো।
সুগার ছিল মারাত্মক। তা নিয়েও বেদম বকাবকি করেছি। ‘দাদা’ সম্বোধন করেও বকুনি দিয়েছি। ফোনের ওপাশ থেকে হা–হা করে অট্টহাস্য করেছে। কোনওদিন কোনও অ্যাসাইমেন্টে ‘না’ বলেনি। কোনওদিন কোনও ছবির জন্য আটকে গেলে নির্দ্বিধায় ফোন তুলে বলেছি, এই ছবিটা চাই। কী করে যোগাড় করবে জানি না। অসাধ্যসাধন করে সেই ছবি টেবিলে এনে ফেলেছে।
লকডাউনের পর খেলাধুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কথা আরও কম হতো। প্রায় হতোই না। শেষ কথা কবে হয়েছিল, তা–ও মনে পড়ে না। তাই আজ দুপুরে মোবাইলের স্ক্রিনে ‘রনি রায়’ ভাসতে দেখে একটু অবাক হয়েই ফোনটা ধরলাম। রনি’দা বলল, ‘গুড আফটারনুন। আমার শরীরটা খারাপ লাগছে খুব। অ্যাম্বুল্যান্স ডেকেছি। হাসপাতালে যাচ্ছি। তোমাকে জানিয়ে গেলাম।’
আমি জাস্ট বললাম, সাবধানে থেকো। এখন আর কথা বোলো না। সঙ্গে মোবাইল নিয়ে যাচ্ছো তো? দরকারে টেক্সট কোর। কোনও চিন্তা কোর না। আমরা আছি। আমিও টেক্সট করব নিয়মিত।
তারপর আর কথা হয়নি। আচমকাই বিকেল ৫টা নাগাদ বিপ্লব বলল, ‘রনি রায় আর নেই।’ শুনে যে ঝটকাটা লাগল, তার অভিঘাত এখনও যায়নি! নেই? বলছে কী? দেড়ঘন্টা আগে তো কথা বলল আমার সঙ্গে! গোটা অফিস নিঝুম। অশোক’দার সঙ্গে কথা বললাম। মূহ্যমান। চারদিক থেকে অজস্র ফোন। গোটা দেশ থেকে। কিছু ধরলাম। কিছু মিস্ করলাম। কিছু হোয়াট্সঅ্যাপের জবাব দিলাম। কিছু দেখতে পেলাম না। অনির্বাণ কপি লিখল — ‘রনি রায়ের জীবনাবসান’। খেলার পাতায় রনি’দার ছবির তলায় কপিটা বসালাম। অশোক’দার নির্দেশে একটা প্রেস রিলিজ তৈরি করে বিভিন্ন কাগজে পাঠাতে হল।
রাতে যখন এই ডায়েরি লিখছি, তখনও দেখতে পাচ্ছি দূরে নিজের সিটে বসে চশমা খুলে চোখ মুছছে বিপ্লব। সুনীল গাভাসকারের মতো কিংবদন্তিদের শোকবার্তা এসে পৌঁছচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী আগেই শোক প্রকাশ করেছেন। শোক জানিয়েছে বিভিন্ন সংবাদপত্রও। রনি রায় বলেই বিশ্বাস করি, এর একটিও রুটিন নয়।
একবার ভেবেছিলাম, আজ আর ডায়েরি লিখব না। তারপর মনে হল, লিখে রাখি। হতে পারে, খুব বেশিদিন প্রত্যক্ষভাবে কাজ করিনি। হতে পারে, অকাজের কথা তার সঙ্গে কিছু হয়ইনি। কিন্তু রনি’দার মিঠে ব্যক্তিত্বটা সংক্রামক ছিল। ব্যক্তিগত অপ্রাপ্তিকে ছাপিয়েও মানুষটা খুব জীবন্ত ছিল। একটা এত বেশি জীবন্ত মানুষ যখন ঝপ করে চলে যায়, তখন তাকে একটা ট্রিবিউট দিতে হয়। হাঁটুর অসহ্য ব্যথা নিয়েও যে ভারী ভারী ক্যামেরার ব্যাগ বয়ে দিনের পর দিন ছবি তুলেছে, বিশ্বাস করেছে ‘দ্য শো মাস্ট গো অন’, তার চলে যাওয়াটার তারিখটাও না হয় এই লকডাউন ডায়েরিতে নথিবদ্ধ হয়ে থাকুক।
আমরা প্রত্যেকেই একেকটা আলাদা বুদ্বুদে বসবাস করি। নিজেদের ট্রিপে থাকি। সেই যাত্রাপথে কোনও স্টেশন এলে ছুঁয়ে যাই। আমার জীবনে তেমনই একটা স্টেশন— রনি রায়।
প্রিয় অনিন্দ্য
কিছুতেই আর রাতে ঘুমোতে পারলাম না। রনি দা কে চিনিনা। তবু কেন? আসলে রনিদা
নামক মানুষটার চলে যাওয়া চাবুকের মত আবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে গেল……
আমরা exactly কোথায় দাঁড়িয়ে আছি। জীবনের কোনো মূল্যই নেই। তবু আমরা মিথ্যে
আস্ফালন করে মরি।
এই উপলব্ধি আমার মনে গভীর ভাবে গেঁথে গেছে একটা ঘটনার পর। একটু ছোট করে বলার
লোভ সামলাতে পারছি না…….
ঘটনাটা বছর তিনেক হবে হয়তো। তারিখে কিবা যায় আসে! আমার এক ক্লাস ফোরের
ছাত্রী, সোমরিমা। শুক্রবার স্কুল ছুটির সময় এসে বলল মিস আমরা কাল হেনরি
আইল্যান্ড বেড়াতে যাব। তাই আমি সোমবার কোনো হোমওয়ার্ক দিতে পারব না।
বকেছিলাম। বিরক্তও হয়েছিলাম। কিন্তু সোমবার সোমরিমা আর আসে নি। ও ওর বাবার
সাথে হেনরির সমুদ্রে তলিয়ে গেছিল। ষাট ঘন্টা একটানা সমুদ্রে সাঁতরানো বাবা,
ডাক্তার বাবা, ইন্ডিয়ান নেভির ডিসাস্টার ম্যানেজমেন্ট কন্ট্রোলার বাবা তার
নিজের আর মেয়ের প্রাণ বাঁচাতে পারেনি সেদিন।
আসলে এসব কিছুই ম্যাটার করে না। এ শুধুই মিথ্যে আস্ফালন। বাচ্চাটার চলে যাওয়া
কিছুতেই ভুলতে পারি না। মা কলকাতা পুলিশের ডিডেক্টিভ ডিপার্টমেন্টের বেশ দুঁদে
অফিসার। এখন কোনোমতে চাকরিটা করে। এক ঝটকায় সব তছনছ!
আপনার লেখা কথা কটা……তাই অমোঘ লাগল। এর থেকে সত্যি বোধহয় আর নেই।
ভাল থাকবেন।
আমরা প্রত্যেকেই একেকটা আলাদা বুদ্বুদে বসবাস করি। নিজেদের ট্রিপে থাকি। সেই
যাত্রাপথে কোনও স্টেশন এলে ছুঁয়ে যাই।
নন্দিতা ভট্টাচার্য
LikeLike
জীবন অনিশ্চিত… ভাল থাকুন
LikeLike