
১৮.০৪.২০২০
সকাল ৮.৩৯
সামনের দিনগুলোর দিকে আজকাল আর তাকাতে পারি না। ইট সিম্স লাইক আ বটমলেস পিট। তলদেশহীন একটা গহ্বরের মতো। পড়লে পড়তেই থাকব। পড়তেই থাকব। রোজ নিজেকে বিভিন্নভাবে পেপ–টক দেওয়ার চেষ্টা করি। রোজ বলি, এটা কেটে যাবে। নিশ্চয়ই কেটে যাবে। কিন্তু কোথাও একটা গিয়ে সবই ফাঁকা আওয়াজ মনে হয়। রোজ ঘুম থেকে ওঠার পর ভিতরে একটা শূন্যতা তৈরি হয়। বিভিন্ন প্যাচাল পেড়ে সেটাকে ভরিয়ে তোলার চেষ্টা করি। কিন্তু হয় না।
ভারতে মৃত্যু ৪৭৮ হয়ে গেল। আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ১৪ হাজার। আমেরিকায় মৃত্যু ৩০ হাজারেরও বেশি। নিউইয়র্কে নাকি রাস্তার পাশে গণকবর খোঁড়া হচ্ছে। এগুলো দেখে কি ইতিবাচক থাকা যায়? কোন মন্ত্রে?
সকাল ৮.৫৯
কড়া হচ্ছে রাজ্য সরকার। অন্তত টিভি তেমনই বলছে। বিভিন্ন পাড়ায় গার্ডরেল দিয়ে রাস্তা আটকে লকডাউন বলবৎ করার চেষ্টা চলছে। জমায়েত দেখলে সশস্ত্র পুলিশ পাঠানো হচ্ছে। রেড জোন সালকিয়ায় লকডাউন ভাঙায় লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। বেশ করেছে! যারা যে ভাষা বোঝে, তাদের সঙ্গে সেই ভাষাতেই কথা বলতে হয়।
ও হরি! আবার সেই টিভি–তেই দেখাচ্ছে বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকায় সকালের বাজারের ছবি। গিজগিজ করছে মানুষ। ওপরচালাক, সবজান্তা, বেপরোয়া মানুষ।
সকাল ৯.১৫
কাল রাতে ‘কন্টাজিয়ান’ ছবিটা দেখতে শুরু করেছিলাম। একটু বাড়াবাড়ি আছে ঠিকই। কিন্তু কোথাও একটা গা শিরশিরে সমাপতনও আছে। এই ছবি ২০১১ সালের। তখন এক মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ এবং সেই সংক্রান্ত পরপর মৃত্যুর ঘটনা কল্পনা করে যা বানানো হয়েছিল, তার সঙ্গে খানিকটা হলেও মিল আছে এই করোনাভাইরাস সংক্রমণের। তবে করোনায় কেউ মুখে রক্ত তুলে মারা যাননি। অন্তত এখনও পর্যন্ত তেমনকিছু জানা যায়নি। ছবিতে প্রত্যেকেই তাই। সেটা অবশ্য সিনেম্যাটিক লাইসেন্স। ছবির শেষে প্রত্যাশিত ভাবেই জেতে চিকিৎসা বিজ্ঞান। করোনা সংক্রমণের পর ইউটিইবে এই ছবির নামই হয়ে গিয়েছে ‘করোনা মুভি’। বোঝো ব্যাপার!
সকাল ৯.৩২
আজ দাঁত দেখাতে যেতে হবে। গতকাল থেকে শিরশিরে ব্যথাটা আবার ফেরত এসেছে। লক্ষণ ভাল নয়। সমিতকে কালকেই ফোন করে রেখেছিলাম। বলেছিল, আজ সকালে চলে যেতে। পাইকপাড়ায় ওর একটা চেম্বার আছে। যদিও এখন তালাবন্ধ। ওটা কিছুক্ষণের জন্য খুলে আমায় দেখে দেবে। আসলে রোগীরা ওদের ওই খুড়োর কলের মতো চেয়ারটায় না বসলে ডেন্টিস্টরা কিছুতেই তাদের পরীক্ষা করতে পারে না। তাই চেম্বার এবং খুড়োর কল মাস্ট!
এবার বেরিয়ে পড়ি। ফিরে এসে আবার ঘরকন্নার কাজ করতে হবে।
বেলা ১১.০৩
এই ফিরলাম পাইকপাড়া থেকে। যাওয়া–আসার পথে যা দেখলাম, অসাধারণ!
সল্টলেক থেকে উল্টোডাঙা হয়ে রাজা দীনেন্দ্র স্ট্রিট ধরে আরজি কর হাসপাতাল, বেলগাছিয়া, টালা পার্ক হয়ে পাইকপাড়া। উল্টোডাঙা পর্যন্ত ঠিকই ছিল। ঘেঁটে গেল মুচিবাজারে গিয়ে। থিকথিক করছে লোক। দিব্যি বেচাকেনা চলছে। রাস্তার উপর মাছের বাজার বসেছে। সব্জির বাজার। ফলের বাজার। সব আছে।
অরবিন্দ সেতু ধরে গৌরীবাড়ি হয়ে রাজা দীনেন্দ্র স্ট্রিট ধরে আরজি করের দিকে যাওয়ার সময়েও দেখলাম ফুটপাথে পরপর বাজার বসেছে। মূলত ফলের দোকান। আরজি কর হাসপাতালেও বাউন্ডারি ওয়ালের গা ধরে সার দিয়ে ফলের দোকান। অত সকালে খুব একটা ক্রেতা নেই। কিন্তু কেনার লোক না থাকলে কি আর এমনিই দোকান সাজিয়ে বসে আছে সব? ব্রিজেও বেশ গাড়ি চলাচল হচ্ছে। সকাল ১০টার মতো না হোক, সকাল ৭টার মতো তো বটেই। ব্রিজের নিচে একপাশে জনহীন কলকাতা স্টেশন। সার সার দূরপাল্লার ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে। অন্যপাশে পরেশনাথের মন্দির। অনেক ছোটবেলায় এখানে আসতাম। বিশাল বিশাল চৌবাচ্চায় লেজের ঘাই মেরে সাঁতরে বেড়াত কালো কালো মাছ। আর কপ কপ করে ময়দার গুলি খেত। অবাক হয়ে দেখতাম।
এখন গোটা মন্দির চত্বরটা মৃত্যুপুরীর মতো লাগছে। মাছগুলো কি বেঁচে আছে? কারা এখন রোজ ময়দার গুলি ছুড়ে ছুড়ে দিচ্ছে ওদের?
বেলগাছিয়ায় কি লকডাউন উঠে গিয়েছে? চারদিক দেখে তেমনই মনে হচ্ছিল। আরজি করের হস্টেলের সামনের রাস্তার মোড়ে ভরপুর বাজার বসেছে। মিষ্টির দোকানেও বেশ ভিড়। সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিংয়ের কাঁথায় আগুন দিয়ে রাস্তায় এত লোক যে, খেয়াল করে গাড়ি চালাতে হচ্ছিল। ধাক্কা–টাক্কা না লেগে যায়। কাছাকাছি পুলিশও আছে। তবে তারা সকলেই বেশ ‘মানবিক’।
গ্লাভস, মাস্ক এবং স্যানিটাইজারে সুসজ্জিত হয়ে খুড়োর কলে বসিয়ে সমিত দন্ত পরীক্ষা করল। অ্যান্টিবায়োটিক বদলে দিল। কিন্তু কোনও যন্ত্র ব্যবহার করল না। বলল, এরোসল তৈরি হয়, এমন কোনও ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করা যাবে না। সেজন্যই সকলের সমস্ত চেম্বার বন্ধ। ডেন্টাল কেয়ার এবং ইএনটি চিকিৎসা পুরো লাটে উঠেছে। আরও বলল, ‘হু’ যা গাইডলাইন দিয়েছে, তাতে মুখের ভিতর ফিল্ম ঢুকিয়ে আর এক্স–রে করা যাবে না। ফলে সবই ডিজিটাল এক্স–রে হবে। তাতে চিকিৎসা আরও ব্যয়বহুল হয়ে যাবে। পেশেন্টদের উপর ব্যাপক চাপ পড়বে।
চিন্তার। খুবই চিন্তার।
ফেরার সময় ইচ্ছে করেই শ্যামবাজার হয়ে এলাম। সেই ফুটপাথে বাজার। নেতাজির মূর্তির কাছে রাস্তায় গার্ডরেল এবং পুলিশ আছে বটে। কিন্তু রাস্তায় লোকও আছে। এসব দেখে এখন আর অবাক হই না। চোখ পচে গিয়েছে।
বেলা ১১.৩৬
সকালে একটা চ্যানেলে দেখাচ্ছিল, ‘নেচার’ পত্রিকায় নাকি লিখেছে, নিকাশির জলে করোনাভাইরাস ট্রাভেল করতে পারে। দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল, নিকাশির জলে তো আরও ৭৩৭ রকমের ভাইরাস থাকে। লোকে কি আর নিকাশির বর্জ্য জলে স্নান করে? নাকি সকালে উঠে ড্রেনের জল দিয়ে কুলকুচি করে!
কিছুদিন আগে টিভি–তেই বলেছিল, করোনাভাইরাস হাওয়ায় ১৩ ফুট ট্রাভেল করতে পারে। চারদিকে হুলুস্থূল। সবাই ১৩ ফুট মাপতে শুরু করে দিল। এমন অবস্থা যে, বাড়ির মধ্যেও প্রায় মোবাইলে কথা বলতে হয়! সেটা নিয়ে একটি চমৎকার লেখা লিখেছেন ডাক্তার স্বর্ণালী বিশ্বাস। ফেসবুকে সেটা শেয়ার করেছে অর্ণা।
স্বর্ণালী লিখছেন, ‘সিডিসি অর্থাৎ সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন সম্প্রতি একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছে। গবেষণার বিষয়: চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে করোনার সংক্রমণ পদ্ধতি। তারা আইসিইউ এবং জেনারেল করোনা ওয়ার্ডে নানারকমভাবে স্যাম্পল নিয়ে পরীক্ষা করে দেখেছে, হাসপাতালে করোনা রোগী এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিত্যব্যবহার্য জিনিস, যেমন ডাস্টবিন, কম্পিউটারের মাউস, বিছানার রেলিং, দরজার হাতল ইত্যাদির গায়ে ভাইরাস লেগে থাকছে। তাই স্বাস্থ্যকর্মীদের এ বিষয়ে যত্ন নিতে হবে। এছাড়াও, চিকিৎসার প্রয়োজনে এরোসল তৈরি হলে সেই এরোসলে সওয়ার হয়ে রোগীর দেহ থেকে ভাইরাস ৪ মিটার বা ১৩ ফুট দূরত্ব পর্যন্ত যেতে পারে। তাই সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মীদের উপযুক্ত প্রোটেকশন নিতে হবে।
‘এখানে বুঝতে হবে এরোসলটা কী বস্তু। এরোসল বাতাসে ভাসমান অতি ক্ষুদ্র কঠিন অথবা জলীয় পদার্থ। চিকিৎসাক্ষেত্রে নেবুলাইজেশন দেওয়ার সময় এরোসল তৈরি হয়। করোনা রোগীর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার উপশম করার সময় নেবুলাইজেশন দিলে সেইসময় তৈরি হওয়া এরোসলে সওয়ার হয়ে ভাইরাস ১৩ ফুট অবধি যেতে পারে। হাঁচি, কাশি অথবা কথা বলার সময় মুখ থেকে যে থুতু ছিটকে পড়ে, তা কোনওভাবেই এরোসল নয়। সেই থুতুর কণা ভারী হয়। তাই মাটিতে থিতিয়ে পড়ে। সেই মাটিতে আপনি হাঁটাচলা করলে আপনার পায়ের তলায়, সেই মাটিতে হাত দিলে আপনার হাতে ভাইরাস লেগে থাকতেই পারে। এখানেই বারবার হাত ধুতে বলা এবং হাত না ধুয়ে চোখে, মুখে, নাকে হাত দিতে বারণ করার সার্থকতা।
‘তাই আপনি হাসপাতালে এরোসল তৈরির উৎসের কাছাকাছি না থাকলে ১৩ ফুট দূরত্ব নিয়ে আপনার মাথাব্যথা থাকার কথা নয়।
বুঝলাম। একইসঙ্গে এটা বুঝলাম যে, সমিত কেন যন্ত্র ব্যবহার করল না। ওই এরোসল তৈরি হওয়ার আশঙ্কায়।
দুপুর ১.১০
রাজু ফোন করেছিল। আমরা একসঙ্গে লেক গার্ডেন্সের ইনডোর ক্লাবে ব্যাডমিন্টন খেলি। রাজু আবার কোনও কোনওদিন সেখান থেকে ভিক্টোরিয়ার উল্টোদিকে ময়দানে ভলিবল খেলতেও যায়। এখন অবশ্য সেসব মাথায় উঠেছে। কোনওদিন আর ভিক্টোরিয়ার সামনে যেতে পারবে কিনা, কে জানে! রাজুর প্রিন্টিংয়ের ব্যবসা। শেয়ার মার্কেট নিয়েও গভীর উৎসাহ। ও বলছিল, আগামী একটা বছর আর্থিক দিক দিয়ে একটা ভয়াবহ সময় আসতে চলেছে। ইট ইজ গোয়িং টু বি আ ডিজাস্টার। আগামী বছর মে মাসের পর থেকে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও হতে পারে।
ও আরও যেটা বলল, সেটা কেলেঙ্কারির। ৫ মে–র পর থেকে নাকি গোটা দেশের অধিকাংশ রাজ্যে সংক্রমণ কমে আসবে। কিন্তু দেশের পূর্বাঞ্চলে সংক্রমণ বাড়তে পারে। ওকে বললাম, পশ্চিমবঙ্গ তো পূর্বাঞ্চলেই? রাজু হেসে বলল, ‘দেখতে যাও দাদা কেয়া কেয়া হোতা হ্যায়।’
দুপুর ৩.০৫
সমিত যে নতুন অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করেছে, সেটা পাড়ার দোকানে পেলাম না। গেলাম সল্টলেকের সেবা হাসপাতালে ঢোকার মুখে নন্দন মেডিক্যালে। চমৎকার ব্যবস্থা। দোকানের কোপালসিব্ল গেট টানা। কাউকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। কাচের দরজায় পরিষ্কার নোটিস, ‘যাঁরা ভিতরে ঢুকবেন, তাঁদের পরিষেবা দেওয়া হবে না’। দুই কোলাপসিব্ল পাল্লার মাঝখানে রাখা টুলের উপর একটা পিচবোর্ডের বাক্স রাখা। সেখানেই আপনার ওষুধ এসে পড়বে। সেখানেই আপনি ওষুধের দাম রাখবেন। মাস্ক পরা কর্মচারীরা গ্লাভস পরা হাতে ওষুধ এবং দাম বিনিময় করে নেবেন। বেশ লাগল। এই ওষুধের দোকান কিন্তু মডেল হতে পারে।
বিকেল ৪.০০
অফিসে এসে শুনলাম, মে মাসের প্রথম সপ্তাহে নাকি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ তুঙ্গে উঠবে। কার্ভটা নাকি সেদিকেই এগোচ্ছে। আর ৩ মে–র পরেও নাকি লকডাউন থাকবে। অন্তত ১৯ মে পর্যন্ত। আবার মনে হল, ইট্স আ বটমলেস পিট!
বিকেল ৪.০৮
রাজ্যে রেশন দুর্নীতি নিয়ে লকডাউন ভেঙে রেড রোডে প্রতীকি বিক্ষোভ দেখালেন সিপিএম নেতারা। বিমান, সূর্য, সেলিম, সুজন সব গ্রেফতার। এমনকী, তাঁদের গাড়িগুলির চাবিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। একটা চিন্তা রইল— প্রিজন ভ্যানে কি সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মানা যায়?
বিকেল ৪.২৫
৪ মে থেকে বাছাই কিছু রুটে ডোমেস্টিক ফ্লাইট চালু হবে। আর ১ জুন থেকে ইন্টারন্যাশনাল উড়ান। ওইদিন থেকে টিকিট বুকিং নেওয়া হবে বলে এয়ার ইন্ডিয়া নাকি কনফার্ম করেছে। ইন্টারেস্টিং।
সন্ধ্যা ৬.১৪
কলকাতার পুলিশ কমিশনার আজ হাসপাতাল পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন। গার্ডেনরিচ থানাতেও গিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, গার্ডেনরিচ থানার এক অফিসার করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে। তাঁর অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলছে টিভি। ওদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে পাঞ্জাব পুলিশের এক অ্যাডিশনাল এসপি মারা গিয়েছেন। তাঁর পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
চিনের গুয়াংঝৌ থেকে ৩ লাখ র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট কিট নিয়ে উড়ল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। ভারতে পৌঁছনোর পর ওই কিট যাবে রাজস্থান আর তামিলনাড়ুতে। এই মুদ্রার অন্যপিঠ হল— চিন যাতে কোভিড সংক্রমণের সুযোগ নিয়ে ভারতে দুর্বল হয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলির উপর আধিপত্য কায়েম না করতে পারে, সেজন্য আপাতত ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট নীতিই বদলে ফেলল ভারত! বাণিজ্য মন্ত্রকের বিবৃতিতে চিনের নাম নেই ঠিকই। কিন্তু বলা হয়েছে, এবার থেকে পড়শি কোনও দেশের ভারতে বাণিজ্য করতে গেলে সরকারের অনুমতি লাগবে।
ওহ্, লিখতে ভুলে গিয়েছি। ভারতের করোনা ভাইরাস লড়াইকে সম্মান জানিয়ে সুইস আল্পস পর্বতমালার ম্যাটারহর্ন পর্বতের চুড়োকে ভারতের জাতীয় পতাকার রঙয়ের আলোতে সজ্জিত করা হয়েছে। তাই নিয়ে খুব শোরগোল পড়েছে। দিকে দিকে জয় মোদি, জয় ভারত।
সন্ধ্যা ৬.৩৫
দিল্লিতে বিশাল ধুলোর ঝড় উঠেছে। আঁধি। নয়ডার বাড়ি থেকে রেজাউল একটা ছোট ভিডিও টুইট করেছে। এখানেও বহুক্ষণ ধরে মেঘ করে আছে। ঝোড়ো একটা হাওয়া দিচ্ছে। যদিও বৃষ্টির দেখা নেই। ওদিকে দিল্লিতে আঁধির পর এখন প্রবল বৃষ্টি নেমেছে। শিলও পড়ছে দেদার। টুইটার সেই ছবিতে ছয়লাপ।
৯.৩৪
ডায়েরি বন্ধ করার আগে পরপর দুটো বক্তব্য নথিভুক্ত করে রাখি।
১. সিএনএন একটা স্টোরি করেছে— ‘অ্যাজ দ্য করোনাভাইরাস ক্রাইসিস বিগান স্পাইরালিং আউট অফ কন্ট্রোল, ট্রাম্প অফিশিয়াল্স কন্টিনিউ টু ডাউনপ্লে দ্য পোটেনশিয়াল ইমপ্যাক্টস অফ দ্য প্যানডেমিক’।
২. বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল স্কুল অফ জার্নালিজম অল্ডাস হাক্সলির একটা কোট টুইট করেছে, ‘ফ্যাক্টস ডু নট সিজ টু এগজিস্ট বিকজ দে আর ইগনোর্ড’।
আমেন।