
০১.০৪.২০২০। বুধবার
সকাল ৭.৩৭
কাল রাতে ডায়েরি বন্ধ করার পর রোদ্দূর রায়কে একটা টেক্সট করেছিলাম, ‘হাই, স্টে সেফ। টেক কেয়ার।’ আজ দেখছি কাল রাতেই জবাব এসেছিল, ‘মোক্সাহাই! ইউ টু স্যার!!’
সকাল ৮.০৪
হোয়াইট হাউসের হেল্থ অ্যাডভাইসরিরা মনে করছে, শুধু আমেরিকাতেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ১ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ ৪০ হাজার হতে পারে। ঊর্ধ্বসীমা এবং নিম্নসীমার মধ্যে বিশাল গ্যাপ। গাম্বাট আমেরিকানরা এমনই বেঢপ মার্জিন অফ এরর রেখে হিসেব কষে হয়তো। কিন্তু ব্যবধান যতই হোক, সংখ্যাদুটো চোখ কপালে তুলে দেওয়ার মতো। এখনই মৃতের সংখ্যায় আমেরিকা চিনকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। ট্রাম্পের গলা আজ মিউমিউ করছিল, যখন বলছিল, ‘দ্য নেক্সট টু উইক্স উইল বি এক্সট্রিমলি পেনফুল।’
সকাল ৮.১৫
আজ আর অ্যালার্ম শুনে উঠতে গড়িমসি করিনি। তবে ব্যাপার হল, খুব টায়ার্ড না হয়ে থাকলে ঘুমোনরও উপায় নেই। এ বাড়ির বেডরুমের দু’দিকের দেওয়ালে জানালা। সেগুলোও বিশাল বিশাল। আর পর্দাগুলো খানিকটা ফিনফিনে। ফলে সকালের কড়া রোদ এসে চোখে পড়ে। বেলা পর্যন্ত ঘুমোয় কার সাধ্যি। মনে হল, লকডাউন উঠলে পর্দাগুলো পাল্টাতে হবে। কিন্তু লকডাউন উঠলে যে কতকিছু করতে হবে! তখন পর্দা পাল্টানোটা প্রায়োরিটি লিস্টে থাকলে হয়।
মনে হচ্ছে, লকডাউন উঠলে এ দেশের ঘরে ঘরে মাস্ক তৈরির কুটিরশিল্প শুরু হবে। পাশাপাশি কম খরচে স্যানিটাইজার এবং পিপিই তৈরির কারখানা। নাম হবে করোনা শিল্প। ইয়ার্কি নয়। এটা সিরিয়াসলি লিখলাম।
আমরা কি ইতিমধ্যেই থার্ড স্টেজে পৌঁছে গিয়েছি? টিভি দেখে মাঝেমধ্যে তেমনই সংশয় হচ্ছে বটে। হাওড়া, মেদিনীপুর, বেলঘরিয়া, উল্টোডাঙা— বিভিন্ন এলাকা থেকে রোগ এবং মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসছে। আরও ২টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কমান্ড হাসপাতালের আক্রান্ত চিকিৎসকের পরিবারের তিনজনের দেহে ভাইরাস মিলেছে। টিভি–তে এক চিকিৎসক তো বলেই দিলেন,‘আমরা এখন সেকেন্ড থেকে থার্ড স্টেজে ঢোকার মুখে। এখন আমাদের আরও বেশি সতর্ক হতে হবে। কার্ভটা উপরের দিকে গিয়েছে ঠিকই। কিন্তু এখনও বিস্ফোরণের দিকে যায়নি।’
গতকাল প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ব্যক্তিগত সঞ্চয় থেকে ৫ লক্ষ টাকা দান করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। পাশাপাশিই, রাজ্যের আপৎকালীন বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলেও দিয়েছেন ৫ লক্ষ। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বোধহয় সারা দেশে প্রথম।
সকাল ৮.৫৩
খাটে ভোম্বল হয়ে বসে থাকতে থাকতে আচমকা একটা কথা মনে হল। সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং কেন বলা হচ্ছে? এই টার্মটা কারা তৈরি করল? বলা তো উচিত ফিজিক্যাল ডিস্ট্যান্সিং। কীসের সামাজিক দূরত্ব? ওসব ফালতু কথা। শারীরিক দূরত্ব রাখতে হবে। তাহলে যদি বা গণ সংক্রমণ ঠেকানো যায়।
সকাল ৮.৫৭
টপ রেমনের জবাব নেই! কাল রাতে ডিনারে ছিল। ম্যাগির চেয়েও ভাল মনে হল। আজ রাতেও কি ওটাই থাকবে? নাকি একটু দুধ–কর্নফ্লেক্স দিয়ে স্বাদ বদল করব? দেখা যাক, কপালে কী আছে। হয়তো দেখা গেল, পেটে ইস্ত্রি করে শুয়ে পড়তে হচ্ছে।
সকাল ৯.১৫
মুম্বইনিবাসী এক সিনিয়র সাংবাদিকের টুইটে দেখলাম রজার ফেডেরার রিটায়ার করেছে। ফ্ল্যাশব্যাকের মতো মুহূর্তগুলো ভেসে ভেসে যাচ্ছিল। পায়ের বুড়ো আঙুলের উপর ভর করে আলবাট্রসের মতো ডানা ছড়িয়ে ব্যাকহ্যান্ড ডাউন দ্য লাইন! ওটা আর রইল না বিশ্বটেনিসে। আজকের সবচেয়ে বড় খবর তো এটাই।
নাহ্, এটা নয়। আসলে এটা কোনও খবরই নয়। অনির্বাণ মজুমদার জানাল, ওটা একটা বদ এপ্রিল ফুল রসিকতা। ব্যাড টেস্ট। এইসময়েও লোকে বালখিল্যসুলভ এপ্রিল ফুল–এপ্রিল ফুল খেলছে! দুনিয়ায় প্রচুর আমোদগেঁড়ে আছে ঠিকই, তবে মুম্বইয়ের সিনিয়র সাংবাদিকও যে করোনা–কালে এতটা রসক্ষ্যাপা হয়ে উঠেছেন, জানা ছিল না।
বেলা ১১.২৩
রাজ্যে ষষ্ঠ মৃত্যু এক প্রৌঢ়ের। তবে উনি আগে থেকেই কিডনির অসুখে ভুগছিলেন। টিভি–তে বলছে, আজ সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে মারা গিয়েছেন উনি। ডায়েরিতে তাকিয়ে দেখছি, ঘটনাচক্রে ঠিক তখনই আগের এন্ট্রিটা করছিলাম। কী আশ্চর্য সমাপতন!
বেলা ১২.৫৬
বাবা–মা’কে খেতে দেওয়া শেষ। ওষুধ দেওয়া শেষ। আবার ভাত বানানোও শেষ। টাইম ম্যানেজমেন্টটা আরও একটু বেটার করতে হবে। একটা ডেলি রুটিন বা টাইম টেব্ল করলে হয়। ঘড়ির সময় ধরে। সেই হস্টেলের দিনগুলোর মতো। সকাল থেকে দুপুর হয়ে বিকেল পর্যন্ত। এমনিতে ইদানীং অসহ্য গরম পড়েছে। অন্যসময় হলে এসব নিয়ে চারদিকে কত আলোচনা হতো। কত আদিখ্যেতা হতো। এখন কোনও কথা নেই। উল্টে মনে হচ্ছে, গরম পড়লেও ভাইরাসের প্রকোপ তো কমছে না! বেশি তাপমাত্রায় করোনা নাকি কম ছড়ায়?
মুদ্রণবিভ্রাটে রাজ্যে হোম কোয়ারেন্টিনের সংখ্যা ১ লক্ষ থেকে নেমে এল ১০ হাজারে! স্বাস্থ্য দফতরের নাকি সংখ্যা লিখতে গিয়ে একটা জিরো ভুল করে বেশি পড়ে গিয়েছিল। টেকনিক্যাল এরর। বোঝো কাণ্ড!
ফেসবুকে অনেকে লিখছেন ‘লকডাউন ডায়েরি’ পড়ার জন্য রোজ অপেক্ষা করে থাকেন। ব্লগপোস্টেও অনেকে জানাচ্ছেন। আসলে অধিকাংশ মানুষেরই তো এখন আর অন্য কোনও ব্যস্ততা নেই। বাড়িতে বাড়িতে একটা সময় লুডো, ক্যারম, ব্যাগাডুলি খেলা হতো। এখন সেসবও আর হয় না। টিভি খুললেই করোনা সম্প্রচার। নো ফ্রেশ বিনোদন। টাটকা খেলা নেই। সিনেমা নেই। সময় কাটবে কী করে? অগত্যা ফেসবুক আর ব্লগ লেখা বা ছবি আঁকা। তবু কেউ কেউ অপেক্ষা করে থাকেন জেনে লেখার ইচ্ছে, হাবিজাবি হলেও, বেড়ে যাচ্ছে। এটাও তো এক ধরনের শৃঙ্খলা। এই কঠিন সময়ে সেটা বজায় রাখা গেলে মন্দ কী? ফেসবুকের ওয়ালে সুজয়প্রসাদ লিখেছে, ‘তোর এই লেখাগুলো ভীষণ সিনেম্যাটিক। সব দেখতে পাই।’ জবাবে লিখলাম, জীবনটাই সিনেমা মনে হচ্ছে রে। সত্যিই, গত কয়েকদিন ধরে মনে হচ্ছে, হলিউডের কোনও সাই–ফাই ছবিতে ঢুকে পড়েছি। যেখানে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র সংক্রামক ভাইরাসের বায়ো–কেমিক্যাল হামলায় সন্ত্রস্ত গোটা বিশ্ব। মহাশক্তিধর সমস্ত দেশ তার মারণক্ষমতার সামনে নতজানু। সমস্যা হল, এই ছবি দু–আড়াই ঘন্টায় শেষ হওয়ার নয়।
দুপুর ২.০৩
চেতলার বাড়িতে গিয়েছিলাম। ব্যাঙ্কের কিছু কাজ ছিল। কিছু জিনিসপত্রও কেনার ছিল। নীচে গাড়ি রাখার শব্দ পেয়েই লবঙ্গ উপরে হুটোপাটি শুরু করেছিল। দরজা খুলতে না খুলতে এক লাফে কোলে উঠে পড়ল। অনেক, অনেকক্ষণ ওকে জড়িয়ে ধরে রইলাম। আমার ঘাড়ে মাথা গুঁজে চুপ করে রইল। মাথায় হাত বুলিয়ে, পিঠে দুটো চাপড় মেরে ছাড়তে যাব, দেখলাম ও তখনও আঁকড়ে রয়েছে। মাথাটা ধরে পিছনে নিয়ে গিয়ে মুখের দিকে তাকিয়ে দেখলাম, চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ছে। এত কষ্ট হল যে কী বলব! কিন্তু কী ই–বা করব!
আজ আর বঙ্কু অভিমান করে দূরে সরে থাকেনি। বোধহয় বুঝতে পেরেছে ইচ্ছে করে আমি বাড়ি ছেড়ে যাইনি। কোলে এল। ওকেও অনেকক্ষণ কোলে নিয়ে রাখলাম। যখন মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি, অপলকে বড় বড় চোখে তাকিয়ে রইল। খুবই ক্ষীণ কণ্ঠে ‘মিঁয়াও’ করল কয়েকবার।
যতক্ষণ বাড়িতে ছিলাম, পায়ে পায়ে ঘুরে বেড়াল লবঙ্গ। বেরোনর সময় আর পিছনে তাকাইনি। কষ্ট হচ্ছিল।
দুপুর ২.৩০
বেলুড়ে গিয়ে রামকৃষ্ণ মিশনের হাতে ২,০০০ কিলো চাল দিয়ে এল সৌরভ। বেলুড়মঠের প্রাঙ্গণে দুই গেরুয়াধারী সন্ন্যাসীর সঙ্গে একই ফ্রেমে সৌরভ গাঙ্গুলির ছবি দেখে মনে হল, সুসময় থাকলে ক্যাপশন করা যেত ‘তিন মহারাজ’।
দুপুর ৩.১০
অফিসে এলাম। আজ অশোক’দার মিটিংয়ে থাকব। এসেই স্বস্তির খবর— ব্রিটানিয়া গুড ডে বিস্কুট কিনে এনেছে শত্রুঘ্ন। বাঁচা গেল! সল্টলেক থেকে চেতলা হয়ে আবার সল্টলেক— দীর্ঘ পথে একটা বিষয় দেখেও স্বস্তি হল। ফাঁকা রাস্তাতেও চালকরা সিগনাল মেনে চলছেন। লাল আলোয় দাঁড়াচ্ছেন। সিগনাল সবুজ হলে এগোচ্ছেন। তাহলে চাইলে শৃঙ্খলা রক্ষা করা যায়? খুব বেশি গাড়ি অবশ্য নেই রাস্তায়। দুপুরের রাস্তাও রাতের মতো ফাঁকা ফাঁকা। অফিসটাও কেমন থম মেরে গিয়েছে। যারা এতদিন হাসিঠাট্টা করত, তারাও এখন গম্ভীর থাকছে।
বিকেল ৪.৩৭
এডিট মিটিংয়ে অশোক’দা বলছিলেন, ‘আরও অনেক আগেই লকডাউন করা উচিত ছিল। অন্তত ১৫ দিন প্রিপারেশন নেওয়া উচিত ছিল। এখানে তো চার ঘন্টার নোটিসে লকডাউন ঘোষণা করা হল! আর তা–ও এমন একটা দেশে, যেখানে বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে মেরেকেটে ১ পার্সেন্ট ব্যয় বরাদ্দ করা হয়। যেখানে চিনে সরকারি স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় বরাদ্দ করা হয় ৮ পার্সেন্ট। আমেরিকায় ২ থেকে ২.৫ পার্সেন্ট।’ শুনে মনে হল, সেদিন এক বন্ধুও বলছিল, ‘এই বিপর্যয় থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার অন্য সব পেশা বাদ দিয়ে দেশের বেশিরভাগ ব্রিলিয়ান্ট ছেলেমেয়েকে ডাক্তার বানানো হোক। আর চাঁদে রকেট পাঠানো ছেড়ে হাসপাতাল তৈরি করা হোক। অনেক হয়েছে!’
বিকেল ৫.১৮
এইমাত্র বিপ্লব এসে একটা মর্মান্তিক ছবি দেখাল। ব্রিগেডের মাঠে মরে পড়ে রয়েছে একটা ঘোড়া। তার দেহের উপর বসে আছে খানছয়েক কাক। ভিক্টোরিয়ার সামনে কোনও গাড়ি টানত নিশ্চয়ই। ঘোড়াগুলোকে ছেড়ে গাড়িগুলো টেনে নিয়ে পালিয়েছে কোচোয়ানরা। মাঠে ঘাস শুকিয়ে গিয়েছে। ঘোড়াগুলো খাবে কী? জলও তো পাবে না। বিপ্লব বলল, গতকাল ও ভিক্টোরিয়ার সামনে গিয়েছিল কিছু বিস্কুটের গুঁড়ো নিয়ে কুকুর আর বেড়ালদের খাওয়াতে। হঠাৎ দেখে, ওকে লক্ষ্য করে ঝাঁকে ঝাঁকে কাক নেমে আসছে আকাশ থেকে। উপায় না দেখে সরে এসেছিল।
আজ আবার গিয়েছিল। তখনই মৃত ঘোড়াটাকে দেখেছে। এখন কর্পোরেশনে যোগাযোগ করে চেষ্টা করছে যাতে দেহটা তোলানো যায়। ছবিটা দেখে বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠল। খুব অমিনাস। অশুভ। মাঠের মধ্যে একটা বাদামী রঙের ঘোড়ার প্রাণহীন দেহ পড়ে আছে। খাবারের জন্য ঠোকরাচ্ছে কাকের দল। যে ছবি অতীত আমাদের দেখিয়েছে , সে ছবি এখন দেখাচ্ছে বর্তমান। কিন্তু এ ছবি ভাল সঙ্কেত বহন করে না। এ ছবি ভিতরের আশঙ্কা আর ভয়টাকে আরও বেশি করে জাগিয়ে তোলে।
রাত ৮.১২
মৃত ঘোড়াটির সৎকারের কোনও ব্যবস্থা করা যায়নি। পুলিশকে ফোন করা হয়েছিল। তারা বলেছে, ‘এই তো জীবন।’ তবে যে শহরে করোনা আক্রান্তের মরদেহ দাহ করতে বাধা দিয়ে বাইপাস অবরোধ হয় এবং শবদাহকদেরই এলাকা থেকে মোটরবাইকে তুলে ভাগিয়ে দেওয়া হয়, সেখানে অনাহারে মৃত একটা ঘোড়ার ডেডবডি নিয়ে আর কে মাথা ঘামাবে। ওটাই ঠিক— এই তো জীবন।
রাত ৮.১৭
মুম্বইয়ের ধারাভি বস্তিতে খোঁজ মিলল করোনা–আক্রান্তের। এটাই বাকি ছিল এতদিন! এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি। সর্বনাশের মাথায় বাড়ি। যে বাড়িতে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে, পুলিশ আপাতত সেটি সিল করে দিয়েছে। কিন্তু তাতে কি এখন আদৌ কোনও লাভ হবে? মুম্বইয়ে ফোন করে জানলাম, চার–পাঁচ দিন আগেই নাকি দুই সন্দেভাজনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। আজ রিপোর্টটা কনফার্মড হয়েছে।
রাত ৮.৩৬
রোদ্দূর রায় ‘গো করোনা’ বলে একটা ভিডিও আপলোড করেছে। পরনে কালো টি–শার্ট। ডানহাতের কব্জিতে একটা কালো ওড়না বাঁধা। পাগলের মতো হাত–পা ছুড়ছে। ব্যাকগ্রাউন্ডে কোরাস হচ্ছে ‘গো করোনা!’ ভিডিওটার শেষে রোদ্দূর চিৎপটাং হয়ে পড়ে যাচ্ছে। যথারীতি হাজার হাজার ভিউ। যত পাগলের ছক্কা! কিন্তু বোঝা যাচ্ছে, লোকটা সুস্থ আছে। করোনা হলে অত এনার্জি থাকত না।
রাত ৯.০০
বন্ধ হয়ে গেল উইম্বল্ডন। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম। সেরিনা উইলিয়ামস বলেছে, ‘শকিং!’ ফেডেরার বলেছে, ‘ডিভাস্টেটেড!’
রাত ৯.২৩
এই করোনা আতঙ্কটা ‘এপ্রিল ফুল’ হতে পারত না?
Dear Anindya
Bhalo lage apnar diary porte. Etai ekmatro authentic mone hoy. Tobe bhoy o
kore montao kharap hoy.
Tobu lekha choluk
Bhalo thakun
Nandita Bhattacharya
LikeLike
Amaro bhoy kore, aro ja ja kore lekhar cheshta korchhi. bhalo thakun apnio.
LikeLike
Good morning Anindya. Kaal khub matha ghurchhilo. Tai stemitil(med: spelling vul hote pare) kheye shuyechhilam. Ghumiechhi bodh hoi Raat 3am er por. Asole jibon theke uddipok gulo kome jawa te ghum tao kome gechhe, othocho Ami Raat 10 ta bajlei ghumote hobe ghumote hobe kortam. Jai hok, ekhon porlam. Aajkal khobor 15min er beshi dekhi na. Mon kharap theke aro kharap hoye. Kosto pai. Ei alochona thekeo nijeke soriye rakhi. Abosyo apni jene ki korben. Anyway, onek kharap laagar por o ektu Valo laaga ta thake kothao, tai eto udgrib hoye Pori. Aar sei valo laaga r nam Lobongo, Bonku, Good day biscuit… Aro besh kichhu. Sudhu ekta proshno r uttor deben? Lockdown time 15th er por ki barano hote pare?
LikeLike
Mone hoy barbe. tobu dekha jak thursday PM sokal 9tay ki bolen.
apni bhalo thakun, taratari ghum ashuk 🙂
LikeLike
Wowww… osadharon ending.
LikeLike
thank you
LikeLike
দারুন, অনবদ্য।
LikeLike
ধন্যবাদ
LikeLike